জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জানুয়ারি ০৪ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত ভর্তি ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের ধস্তাধস্তি হয়েছে।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকে যাওয়ার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা ভাঙতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় ২৫ মিনিট এ অবস্থা চলার পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তালা ভেঙে ফেলেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন বলেন, “আমরা যথেষ্ট নমনীয়তা দেখিয়ে তাদের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের মূল্যায়ন করেনি। ভর্তি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য তালা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে তালা ভেঙে ফেললেও ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি শরিফুল কবির বলেন, “আমাদের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার জন্য গতকাল (মঙ্গলবার) সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ নিয়ে আমাদের আন্দোলন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।”
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান শরিফুল।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রথম বর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে আন্দোল শুরু করে ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় ছয়জন আহত হন।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে পাঁচ বছর পর নিজস্ব অর্থায়নে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চলানোর কথা বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের মাঝামাঝি সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফি বাড়িয়ে দেওয়া হলে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বরাদ্দ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতারা বলছেন, প্রশাসন আগের ধারাতেই শিক্ষার ব্যয় পুরোপুরি ছাত্রদের ওপর চাপাতে চাইছে। প্রতি বছর ফি বাড়ানোর ফলে ভর্তি ফি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। ফলে যোগ্যতা থাকলেও অর্থের অভাবে অনেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হারাচ্ছেন।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকে যাওয়ার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা ভাঙতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় ২৫ মিনিট এ অবস্থা চলার পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তালা ভেঙে ফেলেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন বলেন, “আমরা যথেষ্ট নমনীয়তা দেখিয়ে তাদের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের মূল্যায়ন করেনি। ভর্তি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য তালা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে তালা ভেঙে ফেললেও ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি শরিফুল কবির বলেন, “আমাদের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার জন্য গতকাল (মঙ্গলবার) সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ নিয়ে আমাদের আন্দোলন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।”
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান শরিফুল।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রথম বর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে আন্দোল শুরু করে ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় ছয়জন আহত হন।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে পাঁচ বছর পর নিজস্ব অর্থায়নে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চলানোর কথা বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের মাঝামাঝি সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফি বাড়িয়ে দেওয়া হলে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বরাদ্দ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতারা বলছেন, প্রশাসন আগের ধারাতেই শিক্ষার ব্যয় পুরোপুরি ছাত্রদের ওপর চাপাতে চাইছে। প্রতি বছর ফি বাড়ানোর ফলে ভর্তি ফি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। ফলে যোগ্যতা থাকলেও অর্থের অভাবে অনেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হারাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment